BREAKING NEWS. করোনা ভাইরাসের থাবা এবার হুগলীর শেওড়াফুলিতে , চিকিৎসা চলছে সল্টলেকে

30th March 2020 হুগলী
BREAKING NEWS. করোনা ভাইরাসের থাবা এবার হুগলীর শেওড়াফুলিতে , চিকিৎসা চলছে সল্টলেকে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : করোনা ভাইরাসের থাবা এবার হুগলি জেলায়।আরও এক নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রানিত ব্যক্তির খবর মিলল রবিবার রাত দশটায়। শেওড়াফুলির ২০/৫ এনএস রোড, সরকারপাড়া গাঙ্গুুলী বাগান এর  বাসিন্দা প্রদীপ চ্যাটার্জী( ৫৯)ওই ব্যক্তি সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই নিয়ে রবিবার সন্ধেয় তিন জন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলল।  এ রাজ্যে নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২১। সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ৫৯ বছরের এই ব্যক্তি। কোনও ট্র্যাভেল হিস্ট্রি এখনও মেলেনি তাঁর। জানা গেছে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী তিনি। ১৬ মার্চ থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। ২১ তারিখ কমে যায়। ফের ২২ তারিখ জ্বর আসে  বাড়তে থাকে অসুস্থতা। ২৮ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসকদের আতঙ্ক বাড়িয়েছে আরও একটি তথ্য।  কর্ম সূএে দুর্গাপুরে থাকতেন ট্রেনে যাতায়াত করেতেন তিনি। ফলে কত মানুষ যে তাঁর সংস্পর্শে এসেছে, তা খুঁজে বার করা কার্যত অসম্ভব হয়ে গেল।এই ঘটনা সামনে আসতেই চিন্তায় শেওড়াফুলির  মানুষ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।